কল্পনার অনুভব
-পলি ঘোষ
হঠাতই চলে গেলাম অন্য এক পরিবেশে ঘুরতে ।চলে গেলাম একাই নিজের ঠিকানা খুঁজতে ।যেতে যেতে উঠে ও পড়লাম ট্রেনে ।ট্রেন যাচ্ছে আমি ও দুরন্ত গতিতে ট্রেনের কামরায় বন্দী হয়ে ছুটে চলেছি এক অজানার উদ্যেশ্য ।
প্রায় দুদিন পর ট্রেন থামলো রাজধানী তে এসে ।নামলাম খুব ভোরে ।দারুণ লাগছিল রাজধানী তে এসে ।সেখান থেকে রওনা হলাম এক গাড়ি করে ।গাড়ি করে চলেছি সব কিছু দেখতে দেখতে ।খুব অপরূপ লাগছিল নানা রকমের দৃশ্য ।সব কিছুই আমি বন্দী করলাম নয়নের মনি কোঠায় ।
প্রায় গাড়ি ছুটে চলেছে উত্তরা খন্ডের দিকে ।প্রায় উপস্তিত হলাম কাছাকাছি ।তার পর গাড়ি রেখে এক হোটেলে সেদিন রাত টা কাটালাম ।সেদিনই ভোরে আবার রওনা হলাম মহান উদ্যেশ্য কে সফল করার জন্য ।
সব কিছু পিঠে নিয়ে এক টা লাঠি নিয়ে এগিয়ে গেলাম পাহাড়িয়া পথে ।সরু পথ ধরে চলতে লাগলাম খুব সাবধানে ।চলতে চলতে দেখলাম কত পাহাড়িয়া নানা রঙ্গের ফুল ।এক অপরূপ দেখতে লাগছিল। সব কিছু মনের ক্যানভাসে নয়নের মনি কোঠায় বন্দী করলাম ।কখনো মেঘ করে নেমে এলো ঝম ঝম করে বৃষ্টি ।কখনো দেখলাম আকাশ পরিষ্কার ।
অবশেষে পৌঁছলাম মূল শিখায় ।কি অপরূপ যে লাগছিল নিজে ও বুজতে পড়ছিলাম না ।মনে হচ্ছিল র কখনো ফিরবো না ।আমি এখানেই থেকে যাবো ।শিবের সেবা করার জন্য ।
মন্দিরে প্রবেশ করে আর ও অন্য অনভূতি জাগল মনে ।পূজো দিয়ে মনে বললাম জন্মই যদি তুমি দিলে সার্থক তবে কেনো করলে না ।আর ও কত প্রশ্ন করলাম মহাদেব কে ।আজ সব কিছুর উত্তর নিয়ে তবেই আমি ফিরবো ।না তোমার পায়ের কাছে মরবো ।
সব কিছুর পরে উত্তর এলো ।হাওয়ায় ভেসে ভেসে ।ওরে পাগলি শোন তবে এখন ও যে তোর মর্তে অনেক কাজ আছে বাকি ।সেটুকু যে তোকেই পূরণ করতে হবে ।তবেই না তোর মুক্তি ।
আর ও বলল কেউ কিছু পাবে বলে আসে না ।কর্ম করে যাঔ নিষ্ঠুর ভাবে ।ফল তুমি পাবেই পাবেই পাবেই ।এই বলে কে যেন চলে গেলো ।অট্টহাসি হেসে ।তার আমি উঠে দেখলাম উত্তরা খন্ডের মূল চূড়া যেনো আমায় ডাকছে হাতছানি দিয়ে ।
এ এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো আমার মনে ।